32.1 C
Dhaka
Friday, June 13, 2025

এপ্রিলে নির্বাচন ঘোষণার মাঝে এক এগারোর ষড়যন্ত্র থাকতে পারে: রাশেদ খাঁন

advertisment
- Advertisement -spot_img

আগামী বছরের এপ্রিলের প্রথমার্ধে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার সম্ভাব্য দিন ঘোষণার মাঝে এক এগারোর ষড়যন্ত্র থাকতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খাঁন।

বুধবার (১১ জুন) ঝিনাইদহ শহরের ফ্যামিলি জোন অডিটোরিয়ামে স্থানীয় সাংবাদিকদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, নির্বাচন সংস্কার কমিশনের নতুন প্রস্তাবে বলা হয়েছে—৪০ শতাংশের কম ভোট পড়লে ওইসব আসন ও কেন্দ্রে পুনরায় ভোট হবে। এপ্রিল মাস গরমের সময় এবং সেই সময় মানুষ ফসল নিয়ে ব্যস্ত থাকে, ফলে স্বাভাবিকভাবেই ভোটার উপস্থিতি কম হবে। এভাবে ৪০ শতাংশের নিচে ভোট দেখিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ক্ষমতায় টিকে থাকার সুযোগ নিতে পারে। এ ধরনের পরিকল্পনার মধ্যেই এক এগারোর ষড়যন্ত্রের ছায়া দেখছেন তিনি।

রাশেদ খাঁন বলেন, “প্রধান উপদেষ্টাকে বলব—আপনারা সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করুন। ডিসেম্বরের মধ্যেই দেশে নির্বাচন হতে হবে। কয়েকজন উপদেষ্টার কথামতো দেশ চললে জনগণ তা মেনে নেবে না। রাজনৈতিক পক্ষগুলোর মতামতের ভিত্তিতে দেশ পরিচালনা করতে হবে।”

তিনি আরও বলেন, তিনটি দল সংলাপে বলেছে, তারা রমজানের আগে অথবা এপ্রিলে নির্বাচন চায়। কিন্তু বিএনপি, গণঅধিকার পরিষদসহ অধিকাংশ রাজনৈতিক দল চেয়েছিল ডিসেম্বরেই নির্বাচন হোক। অথচ অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সেই সংখ্যাগরিষ্ঠ মতামতকে উপেক্ষা করে মাত্র তিনটি দলের আকাঙ্ক্ষা পূরণ করতে গিয়ে এপ্রিলে নির্বাচন আয়োজনের পরিকল্পনা করছে।

চট্টগ্রাম বন্দর ও করিডোর ইজারা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “করিডোর ও চট্টগ্রাম বন্দর আমাদের কনসার্ন ম্যাটার। মানবিক করিডোরের নামে দেশের সার্বভৌমত্ব বিলীন করা হলে জনগণ তা মেনে নেবে না। বুকের রক্ত দিয়ে ছাত্র-জনতা ফ্যাসিস্ট হাসিনার বিদায় ঘটিয়েছে। প্রয়োজনে জনগণ চট্টগ্রাম বন্দরের ইজারাও ঠেকাবে।”

সরকার ও উপদেষ্টাদের সমালোচনা করে তিনি বলেন, “নির্বাচনের বিষয়ে সরকার এককভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। উপদেষ্টারা বড় রাজনৈতিক দলগুলোর মতামতকে গুরুত্ব না দিয়ে নিজেরাই সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন। অথচ এই সরকার গণঅভ্যুত্থানের ফসল। তারা যদি ব্যর্থ হয়, জাতি তাদের ক্ষমা করবে না।”

রাশেদ খাঁন অভিযোগ করে বলেন, “উপদেষ্টাদের পিএস-এপিএসরা দুর্নীতিতে নিমজ্জিত। দুদক ইতোমধ্যে তাদের বিরুদ্ধে ফাইল খুলেছে। গণমাধ্যমেও সে তথ্য এসেছে। একজন দুর্নীতিগ্রস্ত পিএস বা এপিএসের অধীনে থাকা উপদেষ্টার মাধ্যমে কীভাবে দেশের সংস্কার হবে?”

আওয়ামী লীগের নেতাদের গ্রেপ্তার না হওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “সরকার এখনো শেখ পরিবারের কাউকে গ্রেপ্তার করেনি। আওয়ামী লীগের পলাতক সন্ত্রাসীরা এখনো প্রধান উপদেষ্টাসহ গণঅভ্যুত্থানকারীদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে, হুমকি দিচ্ছে। আমার প্রশ্ন—তাদের পালিয়ে যেতে সাহায্য করল কে? সেই হিসেব সরকারকে দিতে হবে। উপদেষ্টারা আওয়ামী লীগের এসব পলাতক এমপি-মন্ত্রীদের সম্পদ পাহারা দিচ্ছেন।”

মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন গণঅধিকার পরিষদের জেলা সভাপতি প্রভাষক সাখাওয়াত হোসেন, সাধারণ সম্পাদক জাহিদ ইকবাল রাজন, পেশাজীবী পরিষদের সভাপতি রাসেল আহমেদ, ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি রিহান হোসেন রায়হান এবং সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুনসহ দলীয় নেতাকর্মীরা।

সর্বশেষ সংবাদ
- Advertisement -spot_img
আরও নিউজ