বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেন, দুর্গাপূজা, স্বরসত্বিপূজা, কালীপূজা, যে পূজাই হোক, আমরা মনে করেছি এটা আমাদের উৎসবেরই একটা অংশ।
শনিবার (১২ অক্টোবর) রাতে মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগর সার্বজনীন কালী মন্দিরে শারদীয় দুর্গোৎসব উপলক্ষে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে এক মতবিনিময় ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা উল্লেখ করেন।
রিজভী বলেন, এটা কখনোই মনে হয়নি যে, এসব অন্যের উৎসব আর আমার উৎসব আলাদা। ছেলেবেলা থেকেই এমন ধারণা হয়নি। পাকিস্তান আমলের সময়েও ধর্মের ভিত্তিতে রাষ্ট্র গঠন হলেও মানুষের স্বাধীনতা ছিল। সে সময় দেশের হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টানরা তাদের উৎসব পালনে স্বাধীনতা ভোগ করেছে।
তিনি আরও বলেন, আজ কেন পূজার মন্দিরে নিরাপত্তা প্রয়োজন, কেন দেবালয়গুলোতে সতর্ক থাকতে হয়? ৩০-৪০ বছর আগে এমন পরিস্থিতি ছিল না। বরং যত পূজা আসত, মুসলমান শিক্ষার্থীদের মধ্যে আনন্দের এক জোয়ার বইতে শুরু করত।
তিনি বলেন, বর্তমান কর্তৃত্ববাদী শাসনে একটি ‘ওরা-আমরা’ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। যদি তারা ক্ষমতায় আসে, তাহলে এখানে হিন্দুরা নিরাপত্তার সঙ্গে বসবাস করতে পারবে না।
অনুষ্ঠানে মুন্সীগঞ্জ জেলা পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি স্বপন মোদকের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু, কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সহ-সভাপতি আওলাদ হোসেন উজ্জ্বল, এবং সিরাজদিখান উপজেলার বিএনপির সাবেক সভাপতি আব্দুল কুদ্দুস ধীরণ প্রমুখ।