28 C
Dhaka
Friday, July 25, 2025

শবে কদরের রাতে আল্লাহর অফুরন্ত রহমত ও বরকত

advertisment
- Advertisement -spot_img

রমজানের সর্বোত্তম ও মহিমান্বিত রাত হলো লাইলাতুল কদর, যা শবে কদর নামে পরিচিত। এ রাতের ফজিলত এতটাই মহান যে, কোরআনে বিশেষভাবে সূরা আল-কদর নাজিল করা হয়েছে।

শবে কদরের ফজিলত

পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে—
“নিশ্চয়ই আমি কোরআন কদরের রাতে নাজিল করেছি।” (সূরা কদর: ১)

এই আয়াত দ্বারা বোঝা যায়, কোরআনুল কারিম লওহে মাহফুজ থেকে দুনিয়ার আকাশে এই রাতেই নাজিল করা হয়, যা এই রাতের সম্মান ও মর্যাদাকে আরও বাড়িয়ে দেয়।

আল্লাহ আরও বলেন—
“কদরের রাত হাজার মাসের চেয়ে উত্তম।” (সূরা কদর: ৩)

অর্থাৎ, এই এক রাতের ইবাদতের সওয়াব ৮৩ বছর ৪ মাসের ইবাদতের চেয়েও বেশি।

রহমত, মাগফিরাত ও নাজাতের বার্তা

এই রাতে ফেরেশতারা দুনিয়ায় নেমে আসেন, রহমত ও শান্তির বার্তা নিয়ে। আল্লাহ বলেন—
“সে রাতে ফেরেশতারা ও রূহ (জিবরাইল আ.) তাদের প্রতিপালকের আদেশে অবতরণ করে থাকেন সকল বিষয়ে।” (সূরা কদর: ৪)

রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন—
“যে ব্যক্তি ঈমানের সাথে ও সওয়াবের আশায় শবে কদরে ইবাদত করবে, তার পূর্ববর্তী সব গুনাহ মাফ করে দেওয়া হবে।” (সহিহ বুখারি: ১৯০১)

শবে কদরের সন্ধান ও আমল

শবে কদর নির্দিষ্ট কোনো রাতে নিশ্চিত নয়, তবে রাসূল (সা.) বলেছেন, “তোমরা শবে কদরকে রমজানের শেষ দশকের বেজোড় রাতগুলোতে খোঁজ করো।” (সহিহ বুখারি: ২০২০)

এই কারণে ২১, ২৩, ২৫, ২৭ ও ২৯তম রাতগুলোতে বেশি বেশি ইবাদত, কোরআন তিলাওয়াত, জিকির ও দোয়া করা উচিত।

এই রাত আল্লাহর নৈকট্য লাভ, গুনাহ থেকে মুক্তি ও রহমত লাভের এক সুবর্ণ সুযোগ। আসুন, আমরা সবাই এই রাতের বরকত অর্জনে আত্মনিয়োগ করি।

সুত্রা২৪

সর্বশেষ সংবাদ
- Advertisement -spot_img
আরও নিউজ