28 C
Dhaka
Friday, July 25, 2025

জুমাতুল বিদার গুরুত্ব ও ফজিলত

advertisment
- Advertisement -spot_img

‘জুমাতুল বিদা’ শব্দটি আরবি থেকে এসেছে, যেখানে ‘জুমুআ’ মানে শুক্রবার এবং ‘বিদা’ মানে বিদায় বা শেষ। মাহে রমজানের শেষ শুক্রবারকে বলা হয় জুমাতুল বিদা, যা মুসলিম উম্মাহর কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং ফজিলতপূর্ণ। রমজান মাসের শেষ জুমা হওয়ায় এটি বিশেষ মর্যাদার অধিকারী, আর এর সাথে যোগ হয় রমজান এবং জুমার সম্মিলন, যা দিনটিকে আরও মহিমান্বিত করে তোলে।

এদিন মুসলিমরা বিশেষ মোনাজাত করেন, রহমত, মাগফিরাত ও নাজাতের জন্য আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করেন। মুসলিম সম্প্রদায় বিশ্বব্যাপী এই দিনটিকে ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের সাথে পালন করে থাকে। এছাড়াও, দিনটি ‘আল-কুদস দিবস’ হিসেবেও পালন করা হয়, যেখানে মুসলমানরা ফিলিস্তিনের স্বাধীনতার জন্য সচেতনতা বৃদ্ধি করেন।

জুমার দিন সম্পর্কে কোরআনে বলা হয়েছে:
“হে মুমিনগণ! যখন জুমার দিন নামাজের জন্য আহ্বান করা হয়, তখন তোমরা আল্লাহর স্মরণে ধাবিত হও এবং ক্রয়-বিক্রয় ত্যাগ কর। এটি তোমাদের জন্য শ্রেয়, যদি তোমরা বুঝতে পারো।” (সূরা আল জুমুআহ: ৯)

জুমার দিন সম্পর্কে হাদিসে বলা হয়েছে যে, এই দিনে এমন একটি মুহূর্ত আছে যখন আল্লাহ দোয়া কবুল করেন, যা আসর থেকে মাগরিবের মাঝামাঝি সময় হতে পারে।

জুমাতুল বিদার বিশেষত্ব: ১. এটি রমজানের শেষ জুমা, তাই এটি বিশেষ ফজিলতপূর্ণ। ২. পবিত্র জুমার দিন হওয়ায় এটি অত্যন্ত মর্যাদাসম্পন্ন। ৩. এই দিনে মুসলমানরা ‘আল-কুদস দিবস’ পালন করেন, যা ফিলিস্তিনের স্বাধীনতার প্রতি তাদের সমর্থন প্রকাশ করে। ৪. রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, জুমার দিন সর্বোত্তম দিনগুলোর একটি, যেদিন হজরত আদম (আ.)-কে সৃষ্টি করা হয় এবং কেয়ামত সংঘটিত হবে। (মিশকাত)

জুমার দিনের সুন্নত আমল: ১. ভালোভাবে গোসল করা। ২. পরিষ্কার পোশাক পরা। ৩. সুগন্ধি ব্যবহার করা। ৪. মসজিদে আগে গিয়ে বসা। ৫. ইমামের কাছাকাছি বসে খুতবা শোনা। ৬. বেশি বেশি দরুদ পাঠ করা। ৭. দুই খুতবার মাঝে নীরব থাকা। ৮. ফজরের পর থেকে বেশি বেশি ইস্তেগফার ও জিকির করা।

জুমার নামাজের গুরুত্ব: রাসুল (সা.) বলেছেন, “যে ব্যক্তি জুমার দিনে ভালোভাবে গোসল করবে, আগে মসজিদে যাবে, ইমামের কাছাকাছি বসবে, মনোযোগ সহকারে খুতবা শুনবে এবং কোনো অনর্থক কাজ করবে না, সে ব্যক্তি প্রতিটি কদমের বিনিময়ে এক বছর নামাজ ও রোজার সওয়াব লাভ করবে।” (সুনানে ইবনে মাজাহ, সুনানে আবু দাউদ)

জুমাতুল বিদার বিশেষ গুরুত্ব: জুমাতুল বিদা শুধু রমজানের শেষ শুক্রবার নয়, এটি আত্মশুদ্ধির একটি অনন্য সুযোগ। মুসলমানদের উচিত এই দিনটিতে অধিক পরিমাণে ইবাদত করা, গরিব-দুঃখীদের সাহায্য করা এবং নিজেদের আত্মশুদ্ধির জন্য দোয়া করা। আল্লাহ তায়ালা আমাদের সবাইকে এই ফজিলতপূর্ণ দিনের সঠিক মর্যাদা বোঝার এবং যথাযথভাবে পালন করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

সুত্রা২৪

সর্বশেষ সংবাদ
- Advertisement -spot_img
আরও নিউজ