সাউথ আফ্রিকা টস জিতে প্রথমে ব্যাটিং করতে শুরু করেছে এবং তাদের ইনিংসের শুরুটা ছিল চমৎকার। তবে ইনিংসের সপ্তম ওভারে তারা একটি উইকেট হারানোর সম্ভাবনার সম্মুখীন হয়। হাসান মাহমুদের একটি বল ডি জর্জির ব্যাটের কানায় লাগলে উইকেটের পিছনে তা ধরতে পারেননি অভিষিক্ত উইকেটকিপার মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন। বোলারদের জন্য পরিস্থিতি তেমন সুবিধাজনক না থাকায় হাসান ও নাহিদ রানার জন্য বিশেষ চ্যালেঞ্জ তৈরি হয়নি।
ডি জর্জি ও এইডেন মার্করাম বড় একটি জুটি গড়ার পথে ছিলেন। ইনিংসের ১৮তম ওভারে বাংলাদেশকে একটি উইকেট এনে দেন তাইজুল ইসলাম, যখন মার্করাম মিড অনে মুমিনুল হকের হাতে ক্যাচ দিয়ে ৩৩ রানে ফিরে যান। প্রথম সেশনে বাংলাদেশ মাত্র একটি উইকেট নিতে সক্ষম হয়, ফলে সাউথ আফ্রিকা ১০৯ রান নিয়ে লাঞ্চে যায়।
লাঞ্চের পর ডি জর্জি তার হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন, এটি ছিল তার ক্যারিয়ারের তৃতীয় পঞ্চাশ, যা তিনি ৭৬ বলে অর্জন করেন। তবে ৬৭ রানে থাকা অবস্থায় হাসান মাহমুদ তাকে জীবন দান করেন। বাংলাদেশ প্রথম দিনের ৫০ ওভারে দুটি রিভিউ হারায়।
তাইজুলের একটি বল কাট করার চেষ্টা করে স্টাবস আউট হওয়ার জন্য আবেদন করেন, কিন্তু আম্পায়ার সাড়া না দিলে অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত রিভিউ নেন। রিভিউতে দেখা যায়, বল ব্যাটে লাগেনি। হতাশা নিয়ে বাংলাদেশ বোলারদের মধ্যে স্টাবস ১০৭ বলে তার হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন।
ডি জর্জি ১৪৬ বলে ১৪১ রান করে তার প্রথম শতকটি উদযাপন করেন। দ্বিতীয় সেশনে বাংলাদেশ সবচেয়ে বেশি হতাশ হয়েছে, কারণ স্টাবস ও ডি জর্জি ২৮ ওভারে ৯৫ রান তুলেছেন।
অবশেষে স্টাবস ১০৬ রানে আউট হলে ডি জর্জি ও ডেভিড বেডিংহাম দ্রুত রান তোলার দিকে মনোযোগ দেন। প্রথম দিনে সাউথ আফ্রিকা ৩০৭ রান তুলে, যেখানে ডি জর্জি ১৪১ এবং বেডিংহাম অপরাজিত ১৮ রান করেন। বাংলাদেশের পক্ষে দুই উইকেট নিয়েছেন তাইজুল ইসলাম।
সংক্ষিপ্ত স্কোর (প্রথম দিন শেষে):
সাউথ আফ্রিকা (প্রথম ইনিংস): ৩০৭/২ (৮১ ওভার) (মার্কারাম ৩৩, ডি জর্জি ১৪১, স্টাবস ১০৬, বেডিংহাম ১৮; তাইজুল ২/১১০)