চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় দিনের খেলায় দুর্দান্ত শুরু করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। ধীরে ধীরে বিশাল সংগ্রহের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে তারা, আর বাংলাদেশের বোলারদের জন্য পরিস্থিতি খুবই কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে।
চা বিরতির পর, মথুসামি তার ক্যারিয়ারের প্রথম হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন। বাঁহাতি এই ব্যাটার ৬২ বল মোকাবেলা করে তিনটি চার এবং দুটি ছক্কা হাঁকিয়ে ৫০ রান করেন। মুল্ডারও সেঞ্চুরি অর্জন করেন, তাইজুলের বলে ছক্কা মারার পর তিনি ১৫০ বলের মোকাবেলায় ১০৫ রানে পৌঁছান। তার ইনিংসে ছিল আটটি চার ও চারটি ছক্কা। মথুসামি অপরাজিত থাকেন ৭০ রানে। এভাবে দক্ষিণ আফ্রিকার সংগ্রহ দাঁড়ায় ছয় উইকেটে ৫৭৭।
মধ্যাহ্নভোজ বিরতির পর প্রথম আঘাত করেন নাহিদ রানা, রায়ান রিকেলটনকে ১২ রানে ফিরিয়ে। এই উইকেটের পতনের পরও দক্ষিণ আফ্রিকা থমকে যায়নি। সেনুরান মথুসামি মুল্ডারের সঙ্গে জুটি গড়ে দ্রুত রান বাড়াতে থাকেন। তারা মিলিতভাবে ৮৩ বলে হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন।
প্রথম সেশনে বাংলাদেশ কিছুটা লড়াই করলেও দ্বিতীয় সেশনে তাদের কাজ সহজ হয়নি। মাত্র ২৫ ওভারে এক উইকেট হারিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা ১১৪ রান যোগ করে। চা বিরতির সময় তাদের স্কোর ছিল ছয় উইকেটে ৫২৭।
দ্বিতীয় দিনের খেলায় দক্ষিণ আফ্রিকা ৩০৭ রানে দুই উইকেট নিয়ে শুরু করে। শুরু থেকেই বাংলাদেশের বোলারদের চাপে রেখেছিল তারা। টনি ডি জর্জি ২৩৫ বলে দেড়শ রানে পৌঁছান এবং পরে ডেভিড বেডিংহামও তার ক্যারিয়ারের তৃতীয় হাফ সেঞ্চুরি অর্জন করেন।
তবে, একটি দারুণ ছক্কার পরই ৭০ বলের খেলায় বেডিংহাম বোল্ড হন। এরপর ডি জর্জিও আউট হন ২৬৯ বলে ১৭৭ রান করে। তাইজুল ইনিংসে পাঁচ উইকেট নিয়ে বাংলাদেশকে কিছুটা স্বস্তি দেন। তার পরের উইকেটটি ছিল কাইল ভেরাইনির, যিনি কোনো রান না করেই ফিরে যান।
শেষ পর্যন্ত, রায়ান রিকেলটন এবং উইয়ান মুল্ডারের ব্যাটিংয়ে চারশ’ রান অতিক্রম করে দক্ষিণ আফ্রিকা। প্রথম সেশনে ২৯ ওভারে ১০৬ রান তুলে তারা।