লিওনেল মেসির রেকর্ড ভাঙা এখন যেন রোজকার ঘটনা। আর্জেন্টিনার এই ফুটবল মহাতারকা ক্যারিয়ারে এমন অসংখ্য রেকর্ড গড়েছেন, যা তাকে ফুটবলের ইতিহাসে অমর করে তুলেছে। ছোট্ট এই জাদুকরের ব্যক্তিগত অর্জনের ঝুলি বহু আগেই পূর্ণ হয়েছে, তবে ফুটবলের প্রতি তার ভালোবাসা আর মাঠে নামার আগ্রহ কখনও কমেনি।
আজ বুধবার (২০ নভেম্বর) ফিফা বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে পেরুর বিপক্ষে মাঠে নামে আর্জেন্টিনা। বর্তমান বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা ম্যাচটি ১-০ ব্যবধানে জিতে নেয়। দলের হয়ে একমাত্র গোলটি করেন লাউতারো মার্টিনেজ, যেখানে সহায়তা করেছেন মেসি। এই অ্যাসিস্টের মাধ্যমে মেসি আন্তর্জাতিক ফুটবলে নতুন একটি রেকর্ড গড়েছেন।
মেসির আন্তর্জাতিক ফুটবলে মোট অ্যাসিস্ট সংখ্যা এখন ৫৮। এর ফলে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক ফুটবল তারকা ল্যান্ডন ডনোভানের সঙ্গে যৌথভাবে শীর্ষে উঠে এসেছেন। তবে ডনোভানের এই সংখ্যায় পৌঁছাতে লেগেছিল ১৫৭ ম্যাচ, আর মেসির লেগেছে ১৯১টি। অন্যদিকে, এই ম্যাচে গোল করে লাউতারো মার্টিনেজ কিংবদন্তি দিয়েগো ম্যারাডোনার পাশে জায়গা করে নিয়েছেন। আর্জেন্টিনার জার্সিতে এখন দুজনের গোলসংখ্যা সমান—৩২টি।
ম্যারাডোনা ৮৪ ম্যাচে ৩২ গোল করে ফুটবল থেকে অবসর নেন। ডনোভানও ইতোমধ্যে ফুটবল ছাড়লেও মেসি ও মার্টিনেজের সামনে এখনো রয়েছে অনেক পথ চলার সুযোগ। এদিকে, জাতীয় দলের জার্সিতে এটি ছিল চলতি বছরে আর্জেন্টিনার শেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ।
পরিচিত দর্শকদের সামনে এই জয় দিয়ে আর্জেন্টিনা বছর শেষ করেছে গৌরবের সঙ্গে। মেসি ও মার্টিনেজের যুগলবন্দিতে গোলটিও ছিল চমকপ্রদ। পেরুর ডি-বক্সের কাছ থেকে মেসি বল পান। বাম প্রান্ত দিয়ে এগোতে গেলে তার সামনে দেয়াল হয়ে দাঁড়িয়ে যান পেরুর ডিফেন্ডাররা। তবে মেসির ছন্দে থাকা মানে তাকে আটকানো প্রায় অসম্ভব। ডিফেন্ডারদের ফাঁকি দিয়ে এক চিপ পাস দেন মেসি, যা শূন্যে ভাসতে থাকা অবস্থায় দারুণ শটে জালে পাঠান মার্টিনেজ। পেরুর গোলরক্ষক পেদ্রো পুরো চেষ্টা করেও বলের নাগাল পাননি, আর বলটি গিয়ে ঠেকেছে জালে।
এই জয় শুধু একটি ম্যাচ জেতা নয়, বরং ছিল ফুটবল নৈপুণ্যের আরেকটি উদাহরণ।