দীর্ঘদিনের গোয়েন্দা নজরদারি ও পরিকল্পনার অংশ হিসেবে শীর্ষ সন্ত্রাসী সুব্রত বাইন ও মোল্লা মাসুদসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে যৌথ বাহিনী। মঙ্গলবার (২৭ মে) বিকেলে সেনানিবাসে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সামি-উদ-দৌলা চৌধুরী।
তিনি বলেন, “আজ ভোর ৫টা থেকে কুষ্টিয়া ও ঢাকার হাতিরঝিলে পরিচালিত সাঁড়াশি অভিযানে ৪৬ স্বতন্ত্র ইনফেন্ট্রি ব্রিগেডের একটি ইউনিট সফলভাবে দুইজন শীর্ষ সন্ত্রাসী ও তাদের দুই সহযোগীকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়।”
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন: সুব্রত বাইন ওরফে ফতেহ আলী, আবু রাসেল মাসুদ ওরফে মোল্লা মাসুদ, শ্যুটার আরাফাত ও গাড়িচালক শরীফ। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ৫টি বিদেশি পিস্তল, ১০টি ম্যাগাজিন, ৫৩ রাউন্ড গুলি ও একটি স্যাটেলাইট ফোন।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী জানায়, কুষ্টিয়ার কালিশংকরপুর এলাকার সোনার বাংলা রোডে সকাল ৫টা ১৫ মিনিটে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করা হয় সুব্রত ও মোল্লা মাসুদকে। তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ঢাকার হাতিরঝিল এলাকায় সকাল ৭টায় অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করা হয় সহযোগী আরাফাত ও শরীফকে।
আইএসপিআর পরিচালক জানান, গ্রেপ্তারকৃতরা দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে হত্যা, চাঁদাবাজি ও নাশকতার সঙ্গে জড়িত। সুব্রত ও মোল্লা মাসুদ ২৩ শীর্ষ সন্ত্রাসীর তালিকাভুক্ত এবং সেভেন স্টার চক্রের মূল পরিকল্পনাকারী।
তিনি বলেন, “এই অপারেশনটি সংঘর্ষ বা ক্ষয়ক্ষতি ছাড়াই অত্যন্ত পেশাদারিত্বের সঙ্গে পরিচালিত হয়েছে, যা আমাদের বাহিনীর দক্ষতা এবং রাষ্ট্রের প্রতি দায়বদ্ধতার পরিচয়।”
অভিযানে সমন্বয় করে সহায়তা দিয়েছে সেনা সদরের সামরিক অপারেশন পরিদপ্তর, ৫৫ পদাতিক ডিভিশন, ১৪ স্বতন্ত্র ইঞ্জিনিয়ার বিগ্রেড, ৭১ মেকানাইজড ব্রিগেড এবং জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা (এনএসআই)।
সংবাদ সম্মেলনের শেষ দিকে লেফটেন্যান্ট কর্নেল সামি-উদ-দৌলা চৌধুরী বলেন, “সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে সেনাবাহিনীর অবস্থান কঠোর ও স্পষ্ট। সন্দেহজনক কোনো কর্মকাণ্ড সম্পর্কে জনগণকে নিকটস্থ সেনা ক্যাম্প বা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে অবহিত করার আহ্বান জানাচ্ছি। সেনাবাহিনী সবসময় জনগণের পাশে আছে এবং থাকবে।”