পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যকার ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে এক দিনের সফরে ইসলামাবাদে পৌঁছেছেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি। পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যমগুলো জানায়, সোমবার (৫ মে) ইসলামাবাদে পা রাখেন তিনি।
গত ২২ এপ্রিল জম্মু-কাশ্মিরের পেহেলগামে পর্যটকদের ওপর বন্দুকধারীদের হামলার পর ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক আরও অবনতি ঘটেছে। ভারত এই হামলার জন্য পাকিস্তানকে দায়ী করলেও ইসলামাবাদ তা নাকচ করেছে। পাকিস্তানের পক্ষ থেকে জানানো হয়, তাদের কাছে গোয়েন্দা তথ্য রয়েছে যা ইঙ্গিত দেয়, নয়াদিল্লি পাকিস্তানে সামরিক অভিযান চালানোর পরিকল্পনা করছে। এতে পারমাণবিক অস্ত্রধারী দুই দেশের মধ্যে সংঘাতের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
পাকিস্তানে নিযুক্ত ইরানি রাষ্ট্রদূত রেজা আমিরি মোগাদ্দাম জানান, ভারত ও পাকিস্তান উভয় দেশের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের কারণে ইরানের এই সফর অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সফরে দক্ষিণ এশিয়ার এই উত্তপ্ত পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হবে বলে জানান তিনি।
ইসলামাবাদে পৌঁছানোর পর পাকিস্তানের পশ্চিম এশিয়া বিষয়ক অতিরিক্ত সচিব সৈয়দ আসাদ গিলানি, ইরানি রাষ্ট্রদূতসহ জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা আব্বাস আরাগচিকে স্বাগত জানান।
সফরকালে তিনি পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারি, প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দারের সঙ্গে বৈঠক করবেন। পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এই উচ্চপর্যায়ের সফর দুই দেশের গভীর সম্পর্ক ও পারস্পরিক সহযোগিতার অঙ্গীকারকে নতুন করে দৃঢ় করছে।
সফরের পর ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর নয়াদিল্লি যাওয়ারও কথা রয়েছে। সফরটি পূর্বনির্ধারিত নাকি চলমান সংকটের প্রেক্ষিতে হয়েছে, তা এখনো স্পষ্ট নয়।
এদিকে, পাকিস্তান উত্তেজনা প্রশমনে রাশিয়াসহ বিভিন্ন দেশের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেছে। রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ পাকিস্তানকে ফোন করে উভয় পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানান এবং কূটনৈতিক সমাধানের গুরুত্ব তুলে ধরেন।
এছাড়া, জাতিসংঘে নিযুক্ত পাকিস্তানি দূতকে ভারতের “আগ্রাসী পদক্ষেপ” নিয়ে নিরাপত্তা পরিষদে ব্রিফিং দিতে বলা হয়েছে। ইসলামাবাদ এই পদক্ষেপকে আঞ্চলিক শান্তির জন্য হুমকি বলে অভিহিত করেছে।
তথ্যসূত্র: এক্সপ্রেস ট্রিবিউন